ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সানজিদা আক্তার ডলি বাঁচতে চায়। মাত্র ১৪ বছর বয়সী শিশু সানজিদার যখন মাঠে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকার কথা, তখন সে বিছানায় শুয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে।
সানজিদা লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিন ইউনিয়নের বিছনাখোলা গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক শাহজাহান মিয়ার দ্বিতীয় মেয়ে। সে উপজেলার প্রেমনল উচ্চ বিদ্যালেয়র অষ্টম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী।
গত কয়েকদিন আগে সানজিদা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান বাবা শাহজাহান। সেখানে ভর্তি ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পর সানজিদার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। আর ওই পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ যোগান দিতেই সর্বস্বান্ত পিতা শাহজাহান।
এখন অনেক কষ্টেও সানজিদার চিকিৎসা ব্যয় বহন করা তাদের দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। পরিক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বললেও আর্থিক সংকটে থাকায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবার। বর্তমানে সে বাড়িতে রয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে কেমোথেরাপি, হিমোগ্লোবিন ও দামি ইনজেকশন। এতে খরচ হবে প্রায় ১৩-১৪ লাখ টাকা, যা তার দরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সানজিদার বাবা শাহজাহান মিয়া জানান, ডাক্তার বলেছেন, আমার মেয়ের অসুস্থতা এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তা থেকে ভালো হওয়া সম্ভব। তাকে পুরোপুরি সুস্থ করতে যে চিকিৎসা দিতে হবে তাতে প্রায় ১০ লাখ টাকা উপরে খরচ হবে।
তিনি বলেন, আমি একজন কৃষক মানুষ। এত টাকা আমার পক্ষে কোনোভাবেই ম্যানেজ করা সম্ভব নয়।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এছাড়াও সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তবে আমার অবুঝ মেয়েটিকে বাঁচানো সম্ভব।
সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন সানজিদার বড় বোন:01310020239
সানজিদার বাবা: 01743894795 (বিকাশ পার্সোনাল)